মোহাম্মদ আব্দুল হক
কিছু কিছু তারিখ কোনো কোনো মাস বাংলাদেশের জনগণের ঐতিয্যের অংশ হয়ে গেছে। এসবের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো ২১’এ ফেব্রুয়ারি, ৭ই মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর। বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সাথে ফেব্রুয়ারি মাস একাঙ্গীভূত হয়েছে প্রায় শতাব্দীর পথ ধরে। এই ফেব্রুয়ারি মাসের সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির আন্দোলন, বাঙালির রক্ত এবং বিজয়ী বাংলা অক্ষর, বাংলা ভাষা, বাংলা শ্লোগান, বাংলা গান, বাংলা সুর এবং বাংলা কথামালা। ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারি, ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে ভাষা আন্দোলন, ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, শফিউরের রক্তে রাঙা মাস। যে একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের শহীদ দিবস, এই ফেব্রুয়ারিতে-ই সারা ভিষিথের মানুষ মিলে পালন করি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমাদের প্রাণের একুশে ফেব্রুয়ারি কেমন করে ছড়িয়ে গেল বিশ্বময় এবং হয়ে গেল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, এ বিষয়ে জানতে হবে এবং সেই সাথে আমাদের মহান একুশে ফেব্রুয়ারি হয়ে উঠার সংগ্রামের কথা জানতে হবে। কারণ, একুশে ফেব্রুয়ারি হলো আমাদের অস্তিত্বের মাইলফলক।
বিশ্বায়নের এই যুগে এখন সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার মানুষ পৃথিবীর দেশে দেশে ছুটে চললেও সকলেই মাতৃভাষাকে লালন করে গভীর মমতায়। আমাদের সকল দেশের মানুষের আছে এক-ই অর্থবোধক ভিন্ন ভিন্ন ভাষা। আবার এই পৃথিবীতে কিছু কিছু ভাষা নির্দিষ্ট এলাকা বা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শিক্ষা, জ্ঞানার্জন ও সামাজিক যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেদিক থেকে বিশ্বে এক অঞ্চলের মানুষের ভাষার দ্বারা নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এক সময় বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ থামিয়ে দিতে আমাদের মাতৃভাষা অর্থাৎ বাংলা ভাষার চর্চা বন্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্র করেছিলো তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের শাসকবর্গ। সময়ের পিছনে ফিরে দেখি। খুব বেশি পিছনে যেতে হবে না, বিংশ শতাব্দীর ঐতিহাসিক ভারত ভাগের ঘটনা নিয়ে কথা বলে এগুনো যেতে পারে। তখন ১৯৪৭ খ্রীষ্টিয় সালে তৎকালীন বিদ্বান রাজনৈতিক নেতাদের ঘোষিত দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে বৃহৎ ভারত ভেঙে প্রথমে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান ও পরে ১৫ আগস্ট ভারত দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আলাদা হয়ে যায়। আমরা এখন যে স্বাধীন বাংলাদেশ আছি, তখন এই ভূখণ্ড পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে মূলত পাকিস্তান রাষ্ট্রে জড়িত ছিলো। একদিকে পশ্চিম পাকিস্তান ও অন্য প্রান্তে পূর্ব পাকিস্তান আর মাঝে ভারত। এ এক অস্বাভাবিক রাষ্ট্রের সৃষ্টি। পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতায় শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক শ্রেণির প্রভাব বেশি। তাই সেই সময় থেকেই আমাদের এই অঞ্চল পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী দ্বারা অবহেলা ও বঞ্চনার স্বীকারে পরিনত হয়। তারা প্রথম আঘাত করে আমাদের মাতৃভাষার উপর। আমাদের নিজস্ব অক্ষর আছে, শব্দ আছে, পদ্য ও গদ্য সাহিত্য আছে। কিন্তু ; ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার এক বছর-ও হয়নি, তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাহেব ১৯৪৮ খ্রীষ্টিয় সালের ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দান অর্থাৎ বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সভায় উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষণা করলেন। কিন্তু ; এতো সহজেই বুঝি সব হয়ে যায়! মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাহেবের ওই ঘোষণার সাথে সাথে বাংলা ভাষার সচেতন ছাত্র সমাজ প্রতিবাদে গর্জে উঠে। সেদিনের ঘোষণার পরে ১৯৪৮ খ্রীষ্টিয় সালের ২৪ মার্চ ঢাকার কার্জন হলে এক সভায় মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ আবারও ঘোষণা করেন, “পাকিস্তানের শিক্ষার মাধ্যম হতে হবে উর্দু।” এটা কেমন করে সম্ভব! যেখানে আমরা যুগ যুগ ধরে বাংলা ভাষায় কথা বলে আসছি এবং আমাদের নিজস্ব ভাষার বর্ণমালা আছে, সেখানে এ ধরনের ঘোষণা কোনো ভাবেই মানা যায় না। এছাড়া তৎকালীন পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ সংখ্যায়ও অনেক বেশি। সেই থেকেই ভাষার অধিকারের আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুরু হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মঘট, সাধারণ ধর্মঘট, সেক্রেটারিয়েট – এসেম্বলি ঘেরাও ইত্যাদি প্রতিবাদী কর্মসূচি। আমরা কিন্তু ; তখন পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এমন কথা বলিনি যে, ‘পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা হবে বাংলা। বরং আমাদের আন্দোলন আমাদের মাতৃভাষায় আমাদের শিক্ষা ও সাহিত্য চর্চার।’ প্রতিবাদ মুখর আন্দোলন চলতে থাকে। এমন এক পর্যায়ে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী’র নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ ১৯৫২ খ্রীষ্টিয় সালের ২১এ ফেব্রুয়ারিকে ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং হরতাল-ও চলবে। তখন ২১ এ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আইন পরিষদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে, সেজন্যেই এই দিনটিকেই বেছে নেয়া হয়। সরকারও বসে থাকেনি, বাংলার মানুষের প্রতিবাদী চেতনাকে দমিয়ে রাখতে ২০ এ ফেব্রুয়ারি অনির্দিষ্ট কালের জন্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ঢাকা শহরে। কিন্তু ; ওরা বাংলার দামাল সন্তানদেরকে দমাতে পারেনি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৫২ খ্রীষ্টিয় সালের ২১ এ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় জনাব গাজীউল হকের নেতৃত্বে সভা শুরু হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী দলে দলে বিভিন্ন এলাকায় কোথাও ৪ জন করে আবার কোথাও ১০ জন করে মিছিল নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্যে বের হয়ে যায়। আর ছাত্র সমাজ যখন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিলে মিছিলে ঢাকার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে তোলে তখনই সরকারের বেপরোয়া পুলিশ বাহিনী গুলি শুরু করে ছাত্রদের মিছিলের উপর। আহারে! পুলিশের গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো বাংলা ভাষার সন্তানেরা। সেদিন পুলিশের গুলিতে শহীদ হয় রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার এবং আরো অনেক হতাহত হয়। তখন শহীদের রক্তের বদলা নিতে এগিয়ে যায় সাধারণ মানুষ। অবশেষে রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে উর্দু ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাও রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা লাভ করে। সেই থেকে ২১ এ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের মাইল ফলক। কিন্তু ; আমাদের ভাষা দিবস আজকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কিভাবে হলো? ইতিহাস জানতে হবে।
ফেব্রুয়ারিতে আমরা ভাষা নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা করি। কিন্তু ; ভুলে গেলে চলবে না যে, বিংশ শতকের বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের আগেও বাংলা ভাষা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঔপনিবেশিক চাপে থেকেও নিজস্বতা ধরে রেখেছে। এর প্রমাণ মিলে বাংলা ভাষায় অতীত থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাসে। বাংলা সাহিত্যের মধ্য যুগের কবি আব্দুল হাকিম (১৬২০ – ১৬৯০) তাঁর ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় বলেছেন, “যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী / সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।” আমরা যারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে গৌরবের অতীতকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করি, তারা আরও পাই, কবি রামনিধি গুপ্ত (১৭৪১ – ১৮৩৪) তাঁর ‘স্বদেশী ভাষা’ কবিতায় বলেছেন – ” নানান দেশের নানান ভাষা / বিনে স্বদেশী ভাষা / পুরে কি আশা।” মাতৃভাষা যে বোধ-চেতনা সম্পন্ন মানুষের কতো বড়ো সম্পদ তা বুঝতে পারা যায়, বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের শক্তিমান কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪ – ১৮৭৩) চর্চা করলে। কবি একসময় মাতৃভাষা বাংলাকে অবহেলা করে ইংরেজি ভাষায় মজেছিলেন। কিন্তু ; অল্প কালেই তাঁর মোহ কেটে যায়। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘বঙ্গভাষা’ কবিতায় বলেছেন, “হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন;- / তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি, / পর – ধন – লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ / পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।” সময়ে কবি’র ঘোর কেটে যায়। তিনি ‘বঙ্গভাষা’ কবিতার শেষে এসে বলেন, “পালিলাম আজ্ঞা সুখে ; পাইলাম কালে / মাতৃ – ভাষা – রূপে খনি, পূর্ণ মণিজালে।।” হ্যাঁ, এভাবেই শতো শতো বছর ধরে বাংলা ভাষা চর্চা হয়ে এসেছে। তবে ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পরে কবিদের কবিতা চর্চায় বাংলা শব্দের সাথে আরবি ও ফারসি শব্দের ব্যবহার ঘটেছে ব্যাপক ভাবে অর্থাৎ বিদেশি শব্দের বাংলা ভাষায় আত্তীকরণ হয়েছে এবং এতে করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশ লাভ করেছে। এসব ইতিহাস জানা বাংলা ভাষার সন্তানেরা আজকে বিশ্বায়নের যুগে নানান দেশে নানান ভাষার মানুষের সাথে প্রয়োজনে বিদেশি ভাষায় কথা বললেও নিজের ভাষা অর্থাৎ মাতৃভাষা বাংলার গৌরবের আন্দোলনকে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি বাঙালিদের একটি সংগঠন ‘মাদার ল্যাঙ্গোয়েজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রথমে উদ্যোগ নেয়। এরপর জাতিসংঘের পরামর্শ মতো ১৯৯৯ খ্রীষ্টিয় সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর ওই বছর-ই অর্থাৎ ১৯৯৯ খ্রীষ্টিয় সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী আবু শারাফ হিজবুল কাদের সাদেক (এ এস এইচ কে সাদেক), যিনি ২০১০ খ্রীষ্টিয় সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন, তিনি প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ওই প্রস্তাব উত্থাপন করার এক মাসের মধ্যেই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৯৯ খ্রীষ্টিয় সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩১ তম সম্মেলনে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ তারিখকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের স্বীকৃতি দেয়। এভাবেই আমাদের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের এবং ভাষার মর্যাদাকে উপরে তোলে ধরার সংগ্রামের পথের শিক্ষার্থী, গবেষক, কবি ও সাহিত্যিকদের বিজয় এসেছে ধারাবাহিক ভাবে। একুশে ফেব্রুয়ারি আজ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের রক্তে রাঙা গৌরবের এক দিন। মোহাম্মদ আব্দুল হক রচিত ‘লাল’ কবিতায় পড়ি _ “… রক্তের রঙে লাল বাংলা ভাষা / ঝরেছে ফোঁটা ফোঁটা লাল রক্ত – বৃষ্টি / ফুটেছে ফুল লাল একুশে ফেব্রুয়ারি।”
এখন বাংলা ভাষা আন্দোলন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। একবিংশ শতাব্দীর ২০২২ খ্রীষ্টিয় সালে এসে আমরা আমাদের ভাষা নিয়ে এগিয়েছি। বাংলা ভাষা এখন ইংলিশ, ফরাসি, স্প্যানিশ, আরবি, রুশ ইত্যাদি ভাষার পাশাপাশি জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, অর্থাৎ জাতিসংঘের কার্যক্রম সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এখন অন্যান্য স্বীকৃত ভাষার সাথে বাংলাতেও প্রকাশ করা হবে। বাংলা ভাষায় রচিত আব্দুল গাফফার চৌধুরী’র যে গান একটা সময় শুধু আমরা বাংলা ভাষাভাষী মানুষ গাইতাম, “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি / আমি কি ভুলিতে পারি?” – এ গানটি এখন সারা পৃথিবীর মানুষ গভীর মমতায় গায় এবং সকলেই মাতৃভাষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে। মাতৃভাষার গুরুত্ব ধর্মেও অগ্রাধিকার পায়। আমরা সকল দেশের ধর্মবিশ্বাসী সুসাম্প্রদায়িক মানুষ নিজ নিজ ভাষায় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করলে স্রস্টা তা শুনতে পান। তাই ইবাদত করতে, বিদেশিদের সঙ্গে কুটনৈতিক ও সামাজিক যোগাযোগে, গবেষণায় এবং শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে যতোটা প্রয়োজন তার বেশি বিদেশি ভাষা ব্যবহার না-করে নিজেদের মধ্যে সবসময় মাতৃভাষা চর্চার মাধ্যমে নিজের ভাষার মর্যাদা আরও বিকশিত করা আমাদের কর্তব্য মনে করি।।
(কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক )