হাসছি কেন?

———————– প্রকল্প ভট্টাচার্য

উত্তরটা যে কেউ জানে না, সেটা সবাই জানেন। পাচ্ছে হাসি, হাসছি তাই। কিন্তু, হাসি কি এতই সহজলভ্য!  তাহলে পৃথিবীজুড়ে এত বিবাদ, এত ঘৃণা, এত মন খারাপের হিড়িক কেন! সকলেই হাসতে চাই, হাসতে ভালবাসি, কিন্তু হাসতে পারিনা। নয়তো লোকেদের হাসাতে গিয়ে প্রায়ই লোক হাসিয়ে ফেলি। শ্রী সুকুমার রায় বলেছেন, হাসাবার দুটো উপায়। যদি একজন মানুষের মুখ আঁকবার সময় তার নাকটা না আঁকা হয়, বা উল্টো আঁকা হয়। অর্থাৎ, ব্যাতিক্রমই হাসির কারণ। 
          শ্রী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “সরস আর হাসি এক নয়। হাসির গল্প বললে গল্পটিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হল। সমস্ত মাত্রা কেড়ে নিয়ে একটিই রাখা হল, সেটি হল হাসি। পাঠক পড়বেন আর হা হা করে হাসবেন। লেখকের এ বড় কঠিন দায়। পাঠকদের হাসাতে হবে। পরতে পরতে হাসির উপাদান খুঁজতে হবে। সার্কাসের ক্লাউন, নাটকের ভাঁড়। তাঁদের হাতে বাড়তি একটি অস্ত্র থাকে। সেটি হল অঙ্গভঙ্গি। ইংরাজি করলে, বডি ল্যাঙ্গোয়েজ। লেখকের হাতে মাত্র একটি অস্ত্র, ল্যাঙ্গোয়েজ। কথা শুধু কথা।”  
          এই কথার প্রয়োগের তারতম্যেই সব ফারাক গড়ে ওঠে। বীরবল বলেন, “বাংলাভাষায় গুণপনাযুক্ত ছ্যাবলামির বড় অভাব।’ বাস্তবিকই তাই। জীবনের বাইরে দাঁড়িয়ে যাঁরা জীবনকে দেখতে জানেন, তাঁরাই জানেন হাসতে আর হাসাতে। শেক্সপিয়ার বলেছেন, all the world’s a stage/and all the men and women merely players. প্রায় একই সুরে শ্রী রামপ্রসাদ বলেন, ‘এই সংসার মজার কুটি, আমি খাইদাই আর মজা লুটি’।  
          রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘সাহিত্যের মধ্যে কোন বস্তুকে আমরা খুঁজি! ওস্তাদেরা বলিয়া থাকেন সেটা রসবস্তু… এই রসটা এমন জিনিস, যাহার বাস্তবতা সম্বন্ধে তর্ক উঠিলে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায় এবং একপক্ষ অথবা উভয়পক্ষ ভূমিসাৎ হইলেও কোনো মীমাংসা হয় না।’  শাস্ত্র ন’প্রকার রসের কথা বলছেন- শৃঙ্গার বা আদিরস, বীর, করুণ, অদ্ভুত, হাস্য, ভয়ানক, বীভৎস, রৌদ্র ও শান্ত। মতান্তরে রস দশ প্রকার। দশমটি হল বাৎসল্য রস।  কিন্তু এত প্রকার রসের ভিতর থেকে হাস্যরস নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি, তার কারণ, অ্যারিস্টোফেনসের কথায়, ‘Laughter is more direct and more universal than the emotions of tragedy. Intellectual fun, needless to say, is not necessarily lofty.’
          এখানে হাতাহাতি নয়, হাসাহাসিই আমাদের কাম্য। আসুন, কিছু নির্মল হাস্যরসের আনন্দ আমরা ভাগ করে নিই।  
তিনটিমাত্র উপাদান, পরিস্থিতি, চরিত্র এবং সংলাপ। দেখুন এর প্রয়োগে কীভাবে গড়ে ওঠে হাসির লেখা। আশাপূর্ণা দেবীর ‘সব্বোনাশ’ গল্প শুরু হচ্ছে এইভাবে, “গাড়ির শব্দে বারান্দা থেকে পাতিহাঁসের মতো গলাটা বাড়িয়ে নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে দেকে নিয়েই পিঙ্কি চিৎকার করে উঠল, “ওমা, পাঁউরুটি মাসি!!” আহ্লাদে পিঙ্কির চুলগুলো সোনালী আর মুখটা রূপোলী হয়ে উঠল। আর এমন দুদ্দাড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এল যে, নেমেই ধাক্কা নানকুর সঙ্গে। নানকুও উঠছিল কিনা হুড়মুড়িয়ে!”  এত পর্যন্ত পড়েও কিন্তু পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগবে না, পিঙ্কি কে, নানকু কে, তাদের বয়স কত, তারা কোথায় থাকে, ইত্যাদি। পাঁউরুটি যে কারো নাম হয় না, সেটা সবাই জানি, অথচ এখন গোটা পরিস্থিতিটাই মনে হবে খুব পরিচিত, খুব স্বাভাবিক! আগ্রহী পাঠক অপেক্ষায় থাকবে পরবর্তী হাসির কোনো ঘটনার জন্যে!
 শুরু করি শ্রী প্রমথনাথ বিশী কে উদ্ধৃত করে। “হাসির গল্প লেখক মাত্রেই যে হাসিখুশী থাকবে, আমুদে হবে এ রকম ধারণা অনেকের আছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে হাসির রচনা যাঁরা লিখে গিয়েছেন, তাঁরা সকলেই গম্ভীর প্রকৃতির লোক। ত্রৈলোক্যনাথ, প্রভাতকুমার, পরশুরাম সকলেরই প্রকৃতি গম্ভীর। প্রাচীনদের মধ্যে মুকুন্দরাম ও ভারতচন্দ্র গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন বলেই বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয়, কারণ তাঁদের দুজনেরই দুঃখের জীবন। এত দুঃখের মধ্যে এত হাসিকে কেমন করে তাঁরা রক্ষা করেছেন সে এক বিস্ময়। শমীবৃক্ষাপন অভ্যন্তরে অগ্নিকে কীভাবে রক্ষা করে?… প্রকৃত হাস্যরসের মধ্যে একটা গাম্ভীর্য আছে, প্রকৃত হাস্যরস আর যাই হোক তরল নয়। কালিদাস যে কৈলাস পর্বতকে ত্র্যম্বকের অট্টহাসির সঙ্গে তুলনা করেছেন সে এই জন্যে। প্রকৃত হাস্যরস করুণার রূপান্তর বলেই তা গহন গম্ভীর। এ কথা সবাই বোঝে না বলেই হাসির গল্পের লেখককে দেখতে গিয়ে আমুদে লোককে প্রত্যাশা করে।”
          প্রনাবি-র প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমুদে রম্যরচনাকারের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। সুকুমার রায়, দাদাঠাকুর, শিবরাম চক্রবর্তী, মুজতবা আলি, এনারা সকলেই ছিলেন আড্ডাবাজ ও আমুদে। তবে হ্যাঁ, প্রত্যেকের ভঙ্গিমা ছিল স্বকীয়। যেমন ধরুন, ত্রৈলোক্যনাথ বাবু। তিনি ঘানিতে ভূত পিষে তেল অবধি বার করবার কথা কল্পনা করলেন। ডমরুধর নামে একটা অদ্ভুত চরিত্র সৃষ্টি করলেন, যাঁর উদ্ভট চিন্তার দৌড় শুনুন, হিমালয়ে এত ঠাণ্ডা, বাতাস জমে যায়, গুঁড়ো করে ডিবেয় রাখতে হয় আর মাঝে মাঝে নস্যির মতো নাকে দিতে হয়! ‘ডমরু চরিত’ পড়েছেন নিশ্চয়ই? তেনার তেমনই আর এক চরিত্র নয়নচাঁদের গল্প শুনুন তাঁরই ভাষায়। 
          “নয়ন বলিলেন, ‘মনের মিল থাকে, তবে বলি ইয়ার। তোমরা হিন্দু হও আমিও তাই। মুসলমান হও আমিও তাই। তোমরা যে ঠাকুরগুলি মানিবে, আমিও সেগুলিকে মানিব, আমিও যে ঠাকুরগুলিকে মানিব, তোমাদেরও সেগুলিকে মানিতে হইবে। তা না হইলে মনের মিল রহিল কোথায়?’
          সকলেই বলিলেন, ‘ঠিক! ঠিক! নয়ন বলিতেছে ভালো। আমাদেরও ঐ মত।’
          নয়ন বলিলেন, ‘আমি হক কথা বলিব। আজ আমার অবস্থা একটু ফিরিয়াছে বলিয়া, পুরাতন বন্ধুদের আমি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করিব না; তবে দেশের হাওয়া বুঝিয়া আমি তোমাদিগকে কাজ করিতে বলি। আজকাল দেশের যেরূপ হাওয়া পড়িয়াছে, তাতে সেকালের মতো এখন আর হাবড় হাটি ব্রাহ্মজ্ঞান তেত্রিশ কোটি দেবতার পায়ে তেল দিলে চলিবে না। উহারই মধ্যে দুই-চারিটি মাতালো দেবতা বাছিয়া লইতে হইবে। পূজা দিতে হয় সেই দুই-চারিটি দেবতার দাও। আর সব দেবতারা মুখ হাঁড়ি করিয়া থাকুন। ঘরের ভাত বেশি করিয়া খাবেন।’

          সকলেই বলিলেন, ‘ঠিক! ঠিক কথা! হাবড় তাবড় তেত্রিশ কোটির চাল-কলা যোগায় কে হে বাপু! পূজা না পাইলে মুখ হাঁড়ি করিয়া বসিয়া থাকে, থাক। বেচারি গুলিখোরদের যে পুঁটি মাছের প্রাণ সেটি তো বুঝিতে হবে? উহার মধ্যে দু-একটি বাছিয়া লও, লইয়া বাকি সব না-মঞ্জুর করিয়া দাও।’

          নয়ন বলিলেন, ‘আমারও ঠিক ঐ মত। ভাবিয়া চিন্তিয়া আমি দুইটি দেবতা বাহির করিয়াছি, এক গেলেন কটিগঙ্গা আর এক হইলেন ফণীমনসা। বাকি সব না-মঞ্জুর।’” (নয়নচাঁদের ব্যবসা)
          শ্রী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বুঝিয়ে বলেছেন, “হাসির গল্পের চরিত্ররা কখনও স্বাভাবিক হয় না। কেউ একসেন্ট্রিক, কেউ বদরাগী, কেউ ভুলে যায়, বিস্মৃতিপ্রবণ, কেউ আড় বোঝা। চরিত্র আর স্বভাবে ব্যালেন্সড নয়। মজা জমাবার জন্য এই ধরণের চরিত্র আনতে হয়। এ ছাড়া সিচুয়েশন! এমন পরিস্থিতি ও পরিবেশ তৈরি করতে হয় যা স্বাভাবিক নয়। এমন কিছু ঘটবে যা সহসা ঘটে না। এমন ঘটনা বাস্তবে ঘটবে কিনা, তাও জোর করে বলা যায় না। কল্পনা আর লেখার গুণে সেই পরিস্থিতিই হয়ে উঠবে বাস্তব- কল্পিত বাস্তব। কিছুক্ষণের জন্য পাঠক চলে যাবেন সেই জগতে। মজে যাবেন।”

কল্পিত বাস্তবের একটি উদাহরণ দেখুন। লেখিকা শ্রীমতী লীলা মজুমদার। “মনি ফণী ঠেঁপি পুঁটি রাখু বাগাই কাউকে খুব ছিরিমন্ত বলা যায় না। রোগা, হাড়-জিরজিরে, খিদে-খিদে ভাব। ল্যাকপ্যাকে হাত-পা নেড়ে, খনখনে গলায় রুপোদাদার গিন্নির কাছে গিয়ে কেমন রাগ দেখাচ্ছে দ্যাখো না। আর কথার কি ছিরি! ‘নেই-জমিদারির জমিদার, তার গোমস্তা রুপো চক্কোত্তি। রুপো না গুপো। নেংচে হাঁটা দেখলেই সব মালুম দেয়। তেজ দেখিয়ে আবার নালিশ করা হয়েছে! বড় বাহাদুরের ভাঙ্গা মঞ্জিলের ফুল-বাগান, তাতে যত না ফুল, তার বেশী ঝুল! তার পেছনে ফল-বাগান। ফল না ছল! দেখে লোকে হেসে বাঁচে না। দুটো বৈঁচি, দুটো আঁশফল, কটা নোনাগাছ এ ওর গায়ে ঠেকো দিয়ে বচ্ছরের পর বচ্ছর বড় বড় নোনা ধরাচ্ছে। গুটিকতক বুনো কুল, কী টক, কী টক। তবে কামরাঙা গাছের মাথা থেকে পা অবধি সোনালি ফল টসটস করছে, ভেতর থেকে যেন আলো ফুটে বেরুচ্ছে। একটা তে-বাঁকা বুড়ো কাঁঠালগাছও আছে। তার গিঁট-পাকানো ফলগুলোকে ক্যাওট-পাড়ার বাঁদরগুলো যদি ভাল করে পাকতে দিত, মন্দ মিষ্টি লাগত না।’ তবু ওই বাগানের মাটিই ওদের খাওয়ায়-দাওয়ায় বলা যায়।” (রুপোর ইস্টিলের বাক্স)
কী অদ্ভুতভাবে একটা পোড়ো বাগান, কিছু রোগা ছেলেমেয়ের জগতকে সামনে টেনে এনেছেন কলমের কয়েকটা আঁচড়ে! এদের যেন আমরা কতোদিন ধরে চিনি, দেখছি!
 রম্যরচনার আর এক উল্লেখযোগ্য বিভাগ হলো ব্যঙ্গ। ২৩শে পৌষ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে শ্রী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, “ব্যাঙ্গসাহিত্যের যথার্থ রণক্ষেত্র সর্বজনীন মনুষ্যলোকে, কোনো একটা ছাতাওয়ালা-গলিতে নয়। পৃথিবীতে উন্মার্গযাত্রার বড়ো বড়ো ছাঁদ, type আছে, তার একটা না একটার মধ্যে প্রগতিরও গতি আছে, যে-ব্যঙ্গের বজ্র আকাশচারীর অস্ত্র তার লক্ষ্য এই রকম ছাঁদের ‘পরে। … ব্যাঙ্গরসকে চিরসাহিত্যের কোঠায় প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যে আর্টের দাবি আছে।”  কেমন সে ব্যঙ্গ? আসুন, দেখি পরশুরামের লেখায়। “তামাক আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই তার নিন্দুক জুটিয়াছে। তামাক খাইলে ক্ষুধা নষ্ট হয়, বুদ্ধি জড় হয়, হৃতপিণ্ড দূষিত হয়, ইত্যাদি। কিন্তু কে গ্রাহ্য করে! জগতের আবাল-বৃদ্ধ তামাকের সেবক, বনিতারাও হইয়া উঠিতেছেন। তামাকের বিরুদ্ধে যে-সব ভেষণ অভিযোগ শোনা যায়, তামাক-খোর তার খণ্ডনের কোনো প্রয়াসই করে না, শুধু একটু হাসে আর নির্বিকার-চিত্তে টানে। কিন্তু তাদের অন্তরে যে জবাব অস্ফুট হইয়া আছে, আমরা তার কতকটা আন্দাজ করিতে পারি।– মশায়, তামাক জিনিসটা স্বাস্থ্যের অনুকূল না হইতে পারে, কিন্তু স্বাস্থ্যই কি সব চেয়ে বড়? একটু না হয় ক্ষুধা কমিল, চেহারায় পাক ধরিল, হৃতপিণ্ড ধড়ফড় করিল, -কিন্তু আনন্দটা কি কিছুই নয়? মোটের ওপর লাভটাই আমাদের বেশি। লোকসানের মাত্রা যদি বেশি হইত, তবে আপনিই আমরা ছাড়িয়া দিতাম, উপদেশের অপেক্ষা রাখিতাম না। আমাদের শরীর মন বেশ ভালই আছে, ভদ্র-সমাজে কেউ আমাদের অবজ্ঞা করে না। হ্যাঁ, কোনো কোনো অর্বাচীনের তামাক খাইলে মাথা ঘোরে তা মানি; কিন্তু দু-এক জনের দুর্বলতার জন্য আমরা এত লোক কেন এই আনন্দ হইতে বঞ্চিত হইব?” (তামাক ও বড় তামাক)   
          পাঠকেরা নিশ্চয়ই ভাবছেন,যে আমি কেন এখনও শ্রীসুকুমার রায়, দাদাঠাকুর, সিতু মিঞা বা শ্রী শিবরাম চক্রবর্তীর মতো, অথবা পরবর্তীকালের ইন্দ্রমিত্র, শ্রী তারাপদ রায় বা শ্রী হিমানিশ গোস্বামীর মতো অগ্রগণ্য রসসাহিত্যিকদের কথা বা লেখা উল্লেখ করছি না। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য অবশ্যই তাঁদের অসম্মান করা নয়; আবার একই সঙ্গে এটি কোনও রম্যরচনার সংকলন নয়। কোন ধরণের হাল্কা লেখা পড়ে আমরা আনন্দ পাই, হাসি পায়, কিছুক্ষণের জন্য হলেও সাংসারিক নানান চাপ থেকে কিছুটা মুক্ত হতে পারি, সেই নিয়েই আমার এই লেখার অবতারণা। আরও একটি কারণ আছে। শ্রী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় আক্ষেপ করেছেন, “যাঁদের কলমের জোর ছিল, এখনও যাঁরা আছেন, যাঁরা হাসির লেখা, মজার লেখা লিখতে পারেন, তাঁরা সাহিত্যের এই বিভাগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন না। একটি বড় কারণ বুদ্ধিজীবি মহলে এই লেখার কদর নেই। শুধুমাত্র হাসির লেখা, রম্যরচনার জন্যে লেখককে বড় কোনও পুরষ্কারে সম্মানিত করা হয় না।”
          আসুন না, নাহয় সাহিত্যিক খ্যাতি বা পুরষ্কার, সম্মানের কথা ভুলে, কেবলমাত্র পাঠকদের মনোরঞ্জনের কথা মাথায় রেখেই রম্যরচনাকে আবার আমরা সকলে সাধ্যমতো ফিরিয়ে আনি সাহিত্যের মূল স্রোতে!    

আপনার মতামত দিন
শেয়ার করুন